Academy

আশির দশকে মমতাজ সাহেব সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। কিন্তু স্বৈরশাসনের প্রভাবে তিনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারতেন না। অবশেষে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেলে তিনি দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় লেখনী ধারণ করেন। তিনি বিভিন্ন সময় উপস্থাপন করেন 'আইন স্বাধীনতার সহায়ক'। 

মমতাজ সাহেবের যে বিষয়ে লেখনী ধারণ করেন সেটি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিকাশে কীভাবে ভূমিকা পালন করে? ব্যাখ্যা কর। (প্রয়োগ)

Created: 5 months ago | Updated: 3 months ago
Updated: 3 months ago
Ans :

আইনের শাসন গণতন্ত্রের ভিত্তি। মমতাজ সাহেব গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় লেখনী ধারণ করেন।

তিনি আইনের শাসনকে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় মূল্যবোধের বিকাশের মূল হিসেবে দেখেছেন। যথাযথ আইনের শাসনের মাধ্যমে সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়। জনগণের জীবন, স্বাধীনতা ও সম্পত্তির নিশ্চয়তা লাভ করে। আইনের শাসনের মাধ্যমে 'সকল নাগরিক সমান' এ নীতি প্রতিষ্ঠিত হয়। নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বিচার বিভাগে সমান সুযোগের ভিত্তিতে সবাই বিচার লাভ করবে। দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে সবাই নিরাপত্তা লাভ করবে। আইনের শাসনের এ বিষয়গুলো মূলত গণতন্ত্রের সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রধানত সংখ্যাগুরুর মতামতের ভিত্তিতে পরিচালিত শাসনব্যবস্থা। এতে সংখ্যালঘুরাও সমান সুযোগ পাবে, মত প্রকাশের সমান অধিকার থাকবে। আইনের শাসন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিকে সুদৃঢ় করে, গণতন্ত্র চর্চাকে পরিশীলিত করে এবং সুশাসন নিশ্চিত করে।

5 months ago

পৌরনীতি ও সুশাসন

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

2 আইনের শাসন বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)

Created: 5 months ago | Updated: 3 months ago
Updated: 3 months ago

সুশাসনের অন্যতম প্রধান ভিত্তি হলো আইনের শাসন।

আইনের শাসন বলতে মূলত বোঝানো হয় রাষ্ট্রীয় জীবনে নিরপেক্ষভাবে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে মানবাধিকারের সংরক্ষণকে। সংখ্যালঘু ও রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এর শর্ত। স্বাধীন নিরপেক্ষ এবং দুর্নীতিমুক্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিচার বিভাগ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য। এটি জনগণের অধিকার রক্ষার রক্ষাকবচ।

প্রচলিত সাধারণ অর্থানুসারে আইন হলো কতকগুলো বিবিবিধান যা মানুষ সামাজিক প্রাণী হিসেবে মানতে বাধ্য থাকে। অন্যদিকে, স্বাধীনতা বলতে যা খুশি তাই করার ক্ষমতাকে বোঝায়। আপাতদৃষ্টিতে আইন ও স্বাধীনতা পরস্পর বিরোধী দুটি বিষয়। কিন্তু মমতাজ সাহেবের উত্থাপিত বিষয়টি আমাদেরকে বলতে চাচ্ছে যে, আইন স্বাধীনতার সহায়ক।

বস্তুত আইন ও স্বাধীনতা পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত। আইন স্বাধীনতার রক্ষক ও অভিভাবক। আইন না থাকলে স্বাধীনতা থাকতে পারে না। আইন আছে বলেই স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করা যায়। আইন স্বাধীনতাকে সম্প্রসারিত করে। উইলোবি এজন্যই বলেছেন যে, "আইন আছে বলেই স্বাধীনতা রক্ষা পায়।" অন্যদিকে, স্বাধীনতা না থাকলে আইন অর্থহীন হয়ে যায়। কেননা পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকলে আইনের প্রয়োগ সম্ভব হয় না। আইন আছে বলেই কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আইনের বলেই স্বাধীন বাংলার মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার ফিরে পেয়েছে। আইন না থাকলে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার অর্থহীন হয়ে যায়। আইনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অধিকার দ্বারাই জনগণ সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে স্বাধীনতা লাভ করে। আইন না থাকলে দুর্বলের স্বাধীনতা রক্ষা করা কতটা সম্ভব হতো তা প্রশ্ন সাপেক্ষ ব্যাপার। এজন্যই বলা যায়, সাংবাদিক মমতাজ সাহেবের উত্থাপিত বিষয়টি যথার্থ।

4 আব্রাহাম লিংকন কে? (জ্ঞানমূলক)

Created: 5 months ago | Updated: 3 months ago
Updated: 3 months ago

আব্রাহাম লিংকন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট।

5 মূল্যবোধ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)

Created: 5 months ago | Updated: 3 months ago
Updated: 3 months ago

মূল্যবোধ বলতে তুলনামূলক অর্থমূল্য বা অন্তর্নিহিত গুণাবলিকে বোঝানো হয়। আর সমাজে প্রচলিত মূল্যবোধ বলতে বোঝানো হয় এমন রীতিনীতি, আদর্শ ও লক্ষ্য যা সামাজিকভাবে অনুমোদিত এবং সমর্থিত। সমাজের বৃহত্তর অংশ দ্বারা মূল্যবোধ সমর্থিত হতে হবে। এটি কোনো স্থির বিষয় নয়। সমাজ-স্থান-কাল-পাত্রভেদে মূল্যবোধ পরিবর্তনশীল।

ঐশীর মনে সাম্যের স্বরূপ নিয়ে গভীরভাবে দাগ কাটে। কেননা কাজী নজরুল ইসলামের 'সাম্য' কবিতায় যে সাম্যের কথা বলা হয়েছে, ঐশী সমাজে তার প্রতিফলন দেখতে পায় না।
সাধারণভাবে সাম্য বলতে বোঝায় সকল মানুষ সমান এ ধারণাকে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সব মানুষ সমান নয়। প্রাকৃতিক এবং অর্জিত গুণাবলির ভিত্তিতে মানুষে মানুষে পার্থক্য থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু সাম্য বলতে যা বোঝানো হয় তা হলো, সৃষ্টি দিক থেকে সকল মানুষ সমান। মৌলিক বৈষম্য নিরসনে সাম্য একটি প্রক্রিয়া হিসেবে কাজ করে। একজন ডাক্তার এবং একজন কাঠমিস্ত্রি সমাজে একইভাবে মূল্যায়িত হবেন না- এটি খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু ডাক্তার ও মিস্ত্রি উভয়ই রক্ত-মাংসে গড়া মানুষ। ডাক্তার তার ব্যক্তিসত্তারবিকাশের জন্য যে সুযোগ পাবে, মিস্ত্রিও তাই পাবে এটিই হলো সাম্যের কথা। পেশা-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-লিঙ্গভেদে সবাই সমান সামাজিক সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে নিজ নিজ সামর্থ্য ও প্রয়োজন অনুসারে, এটিই সাম্যের কথা।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...